রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
কাশিমপুর কারাগার-২

তদন্ত কমিটির কাজ শুরু, সন্ধান মেলেনি কয়েদির

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে পালিয়ে যাওয়ার দুই দিন পর শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কারাগার পরিদর্শন করে প্রথম দিনের তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন, ডিআইজি (প্রিজন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং মানিকগঞ্জ কারাগারের জেলার মো. বিকাশ রায়হান। শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তদন্ত কাজ করেন। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন জানান, আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ আমরা তদন্তের প্রাথমিক কার্যক্রম শেষ করেছি। শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলার সুযোগ নেই। এদিকে ঘটনার পরপরই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ক্রাইম) মোহাম্মদ শরিফুর রহমান, কোনাবাড়ি থানার ওসি মো. এমদাদ হোসেন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কোনাবাড়ি থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক এর আগেও কাশিমপুর কারাগার থেকে ২০১৫ সালের ১৩ মে আত্মগোপন করেছিলেন। তখন তিনি কারাগারের সেল এলাকায় সেফটি ট্যাংকির ভিতরে লুকিয়ে ছিলেন। পরদিন উদ্ধার করে তাকে কারাগারে শিকল পরিয়ে রাখা হতো। এতে আবু বকর মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পরে শিকলমুক্ত করে অন্য বন্দীদের সঙ্গে কাজকর্ম করতেন। বৃহস্পতিবারও তিনি অন্য কারাবন্দীদের সঙ্গে মুক্ত অবস্থায় ছিলেন। উল্লেখ্য, আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির আসামি হিসেবে কাশিমপুর কারাগারে আসেন। ২০১২ সালে সাজা সংশোধন করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে উচ্চ আদালত। এ ঘটনার পর কারাগারের প্রধান কারারক্ষী, সহকারী প্রধান কারারক্ষীসহ সাত কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং আরও ৫ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর