শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
নারী নির্যাতন ও নিত্যপণ্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ

রাজধানীতে ইসলামী দলগুলোর বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে ইসলামী দলগুলোর বিক্ষোভ

বিভিন্ন দাবিতে গতকাল রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দেশব্যাপী নারী নির্যাতন, ধর্ষণ এবং আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিলসহ সমাবেশ করেছে ইসলামী দলগুলো। কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দেশব্যাপী বেপরোয়া যেনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণ এবং আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই।

বক্তারা বলেন, খুন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি বন্ধে আইন থাকলেও এগুলো বন্ধ হচ্ছে না। কেন আইন কাজে লাগছে না। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ব্যবস্থা না নিলে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠবে। বিভিন্ন স্থানে নারীদেহের নগ্ন মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। এগুলো বন্ধ না হলে দেশময় আন্দোলন গড়ে  তোলা হবে।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন : সারা দেশে অব্যাহত নারী নির্যাতন-ধর্ষণ, খাদ্যদ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি, পুলিশ হেফাজতে ও সীমান্তে নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে বাদ জুমা রাজধানীতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী প্রমুখ। মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন,  সারা দেশে নারী নির্যাতন-ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না।  খাদ্যদ্রব্যের মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। পুলিশ হেফাজতে যুবক রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে। সরকার জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। তিনি বলেন, একদিকে দেশের জনগণ যখন খুন ও ধর্ষণের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে অপরদিকে জনগণের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থানা-পুলিশও জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে এবং জান-মালের নিরাপত্তার প্রতি সরকারের মোটেও গরজ নেই। ঢাবি শিক্ষক জিয়া রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের ঐতিহ্য হলো এদেশের মানুষ সালাম  দেবে, দাড়ি রাখবে, টুপি-বোরকা পরবে। ঢাবি শিক্ষক  জিয়াসহ একটি কুচক্রীমহল ইসলাম ও মুসলমানদের সংস্কৃতি-কালচার সহ্য করতে পারছে না। ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে যাদের ইসলামী রীতি-নীতি সহ্য হয় না তাদের এ দেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর