শিরোনাম
শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্টিং কিট, রি-এজেন্ট জব্দ, আটক ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও বনানীতে অভিযান চালিয়ে করোনা শনাক্তের মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্টিং কিট, রি-এজেন্ট কিংবা প্রেগন্যান্সি টেস্টিং কিট জব্দ করেছে র‌্যাব। এই দুই জায়গা থেকে আটক করা হয়েছে নয়জনকে। এসব কিট সরবরাহ করা হতো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে।

আটকরা হলেন- ১. বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. শামীম মোল্লা, ২. ব্যবস্থাপক মো. শহীদুল আলম, ৩. প্রধান প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল বাকী ছাব্বির, ৪. অফিস সহকারী মো. জিয়াউর রহমান, ৫. হিসাবরক্ষক মো. সুমন, ৬. অফিস ক্লার্ক ও মার্কেটিং অফিসার জাহিদুল আমিন পুলক, ৭. সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহেল রানা, ৮. এক্সন টেকনোলজিস্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের এমডি মো. মাহমুদুল হাসান, ৯. হাইটেক হেলথ কেয়ার লিমিটেডের এমডি এস এম মোজফা কামাল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকায় র‌্যাব-২ সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, তিনটি প্রতিষ্ঠানের নয়জনকে আটকসহ চার ট্রাক অনুমোদনহীন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ মেডিকেল সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর জাকির হোসেন রোডের বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনালের কার্যালয় থেকে সাতজনকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বনানী এলাকার এক্সন টেকনোলজিস্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লি. এবং হাইটেক হেলথ কেয়ার লিমিটেডের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ মেডিকেল সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। আটক করা হয় আরও দুজনকে। র‌্যাব জানায়, নকল টেস্ট কিটগুলো সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করত চক্রটি। তাদের কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটও পাওয়া গেছে। লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া ও বনানীতে টানা অভিযান পরিচালনা করা হয়। তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওয়্যারহাউজে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের প্রতিনিধির সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। তিনি আরও বলেন, আভিযানিক দল দেখতে পায়- প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিশেষ ধরনের প্রিন্টিং মেশিনের সাহায্যে মেয়াদোত্তীর্ণ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার খুব অল্প সময় রয়েছে, এরূপ বিভিন্ন টেস্ট কিট ও রি-এজেন্টসমূহের মেয়াদ বাড়ানোর কাজ চলছে। পরে তল্লাশিকালে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। আটকরা কভিড-১৯ এর টেস্টিং কিটের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় টেস্ট কিট এবং রি-এজেন্টও সরবরাহ করে আসছিল। যেমন- জন্ডিস, ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া, করোনা, ক্যান্সার প্রভৃতি রোগসহ অন্যান্য প্যাথলোজিক্যাল টেস্টের জন্য যেসব কিট ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এমনকি ‘এইডস’ রোগ নির্ণয়ের জন্য নির্ধারিত প্যাথলোজিক্যাল টেস্ট কিট ও রি-এজেন্টও রয়েছে এ তালিকায়। যা তাদের সংরক্ষণে মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় পাওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর