বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ছাদে কবুতর ও ছাগলের খামার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

ছাদে কবুতর ও ছাগলের খামার

বাসার ছাদে ছাগল ও কবুতর খামার বানিয়ে ভিন্ন চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন আদমদীঘি উপজেলা সদরের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা আহম্মেদ নাইডু। তাঁর খামারে রয়েছে নানা প্রজাতির ছাগল ও কবুতর। চাকরি থেকে অবসরের পর প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ দুটি খামার গড়ে তোলেন তিনি। করোনাকাল কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন খামার থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল ও কবুতর সংগ্রহ করে সমন্বিত খামারটিকে বাণিজ্যিক রূপ দিয়েছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, আদমদীঘি সদরের হাজী তাছের আহম্মেদ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা আহম্মেদ নাইডুর বাসা উপজেলা সদরের মহাসড়কের পাশেই। মাত্র সাড়ে ৮ শতক জমির ওপর তার চার তলা ভবন। নিচ তলায় মার্কেট, দ্বিতীয় তলায় সপরিবার থাকেন তিনি। তৃতীয় তলায় ছাগল আর চতুর্থ তলায় কবুতরের খামার গড়েছেন। খামারের নাম রেখেছেন টি আর গোট অ্যান্ড প্রিজন ফার্ম (ছাগল-কবুতর খামার)। শখের বশে খামার করলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে ছাগল ও কবুতর পালন করছেন।

উপজেলা সদরে এমন দৃষ্টিনন্দন খামার দেখতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন আসেন। খামার দুটি দ্বারা শুধু আয় নয়, মানুষের আমিষের ঘাটতিও পূরণ হবে। অধ্যক্ষ মোস্তফা আহম্মেদ নাইডু বলেন, ‘চাকরি থেকে অবসরের পর শখের বশে এক বছর আগে প্রথমে অল্প কয়েকটি বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল ও কবুতর সংগ্রহ করে ছোট পরিসরে খামার তৈরি করি। এখন এ খামারে ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট, রামছাগল, যমুনাপাড়ী, তোতাপুরি, বিটল, নিয়তিতোতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫৩টি ছাগল রয়েছে। এসব ছাগলকে প্রতিনিয়ত ঘাস, খড়, ভুসি, ভুট্টা খাওয়ানো হয়। মাসে ১৭-১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। পাশাপাশি কবুতর থামারে বলপোটার, কিং, সিরাজি, লখিখা, বিউটিহোমার, মক্ষি, হেলমেট, লালবোম্বাই, লোটন, গারপো, ঘিয়াচুন্নি, সোয়াচন্দন, গিরিবাজ, সাটিং, গলাকষাসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৩৬টি উন্নতমানের কবুতর রয়েছে। এসব কবুতরকে ফিড, গম, ভুট্টা, যব খাওয়ানো হয়। খামার দুটিতে শ্রমিক রয়েছেন দুজন। বাসার ছাদে দৃষ্টিনন্দন ছাগল ও কবুতর খামার দেখে অনেকের মধ্যেই সমন্বিত খামার তৈরির আগ্রহ বেড়েছে।’ খামারি আশা প্রকাশ করেন তাঁর বিনিয়োগের টাকা ছাড়াই এখন এসব ছাগল ও কবুতর বিক্রি করে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাভবান হবেন।

সর্বশেষ খবর