শিরোনাম
রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

উত্তরে বন্যার শঙ্কা

বাড়ছে নদ নদীর পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। পদ্মা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল দুপুরের পর বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানায়। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, দেশের সব নদ-নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলাসহ উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য সীমান্ত নদীগুলোর পানি সমতলে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এ ছাড়া আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।

গতকাল বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর প্রতিবেদনে জানানো হয়- ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। একই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া তিস্তা, ধরলাসহ উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য সীমান্তবর্তী নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে এবং কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে জানিয়ে প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মধ্যাঞ্চলের শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। পদ্মা নদীর পানি সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা গত কয়েক দিনের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি ১১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, সন্দ্বীপে এ পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী তিন দিন বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলে ৮০ মিলিমিটার, নিকলীতে ৬৭, ময়মনসিংহে ২৯, নেত্রকোনায় ২২, চট্টগ্রামে ৪০, সীতাকুন্ডে ৭৩, রাঙামাটিতে ২৯, মাইজদীকোর্টে ১৮, ফেনীতে ৬২, হাতিয়ায় ১৬, কুতুবদিয়ায় ১৬, সিলেটে ৪৭, রাজশাহীতে ১৫, তাড়াশে ২৪, রংপুরে ১১, দিনাজপুরে ১১, তেঁতুলিয়ায় ৩৬, রাজারহাটে ৩০, চুয়াডাঙ্গায় ৬০, কুমারখালীতে ৩৪, পটুয়াখালীতে ৪৯, খেপুপাড়ায় ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর