চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর চট্টগ্রাম-কক্সাবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় চন্দনাইশ উপজেলার বাগিচারহাট এলাকায় মহাসড়কের পাশে মক্কা পেট্রোল পাম্পের পাশে অনুষ্ঠানস্থলে সংঘাতের এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে পুলিশ বলছে- গোলাগুলি নয়, ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সম্প্রতি চন্দনাইশে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে দুটি পক্ষ তৈরি হয়। পদবঞ্চিত পক্ষ হামলায় জড়িত বলে তাদের ধারণা। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ও একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। তিনি বক্তব্য শেষ করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগের পর সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে আকস্মিক ফাঁকা গুলি শুরু হয়। এরপর সভামঞ্চ লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে একদল তরুণ-যুবক। এতে স্থানীয় নেতারা আর বক্তব্য দিতে না পেরে সভাস্থল ত্যাগ করে পাশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নেন। পরে ওই কমিউনিটি সেন্টারেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপে জড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর সভা আহ্বানকারীরা মহাসড়কে এসে অবরোধ করেন। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে এবং মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়। চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোক দিবসের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল মারার ঘটনা ঘটে। এরপর মহাসড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার কিছু সময় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়েছে। এরপর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। এ ঘটনায় আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।