‘চাকরিজীবী পুরুষ বা নারী একে অন্যকে বিয়ে করতে পারবেন না’- এমন বিধান রেখে সংসদে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। বেকারত্ব কমানো ও গৃহকর্মীদের দ্বারা শিশু বন্ধে তিনি এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। অবশ্য আইনমন্ত্রী এ ধরনের আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘বাকস্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে যা কিছু তাই বলা যেতে পারে। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি যা খুশি তাই গ্রহণ করতে পারব না।’ গতকাল জাতীয় সংসদে ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১’-এর সংশোধনীর ওপর আলোচনার সময় বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘দেশে প্রচলিত সামাজিক রেওয়াজ আছে। চাকরিজীবী কোনো পুরুষ চাকরিজীবী নারীকে বিয়ে করতে চান। আবার চাকরিজীবী নারীও একজন চাকরিজীবী পুরুষকে বিয়ে করতে চান। এতে কিন্তু বেকার সমস্যার সমাধান হয় না।’ তিনি বলেন, আইনমন্ত্রীকে নিবেদন করব, এমন একটি আইন উনি সুবিধাজনকভাবে করবেন যেন কোনো চাকরিজীবী নারী কোনো চাকরিজীবী পুরুষকে অথবা কোনো চাকরিজীবী পুরুষ কোনো চাকরিজীবী নারীকে বিয়ে করতে না পারেন। তাহলে আমাদের বেকার সমস্যাটা অনেক লাঘব হবে। এ প্রস্তাবের পেছনে আরও একটি কারণ আছে। যখন চাকরিজীবী দম্পতি অফিসে যান তাদের শিশু সন্তানরা গৃহকর্মীদের দ্বারা দারুণভাবে নির্যাতিত হয়। বাবলুর এ প্রস্তাবের সময় সংসদে হাসির রোল পড়ে যায়। ওই প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ছেলে চাকরি করলে চাকরিজীবী মেয়ের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেওয়া যাবে না- এ রকম প্রস্তাব নিয়ে আমি এখান থেকে দুই কদমও হাঁটতে পারব না। এটা অসাংবিধানিক প্রস্তাব।
কীভাবে এ প্রস্তাব এখানে এলো বুঝতে পারলাম না। আমাদের বাকস্বাধীনতা রয়েছে। ওনি যা খুশি তাই বলতে পারেন। কিন্তু আমি যা খুশি তাই গ্রহণ করতে পারব না। কারণ আমি জনগণের প্রতিনিধি।
