বগুড়ায় সালিশে জরিমানার ৩০ হাজার টাকা আদায় করা নিয়ে বিরোধে হাসান সরকার (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সকালে হাসান সরকার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে হাসান সরকারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। নিহত হাসান সরকার বগুড়া পৌর এলাকার পালশা সরকার পাড়ার মৃত সামছু সরকারের ছেলে।
নিহতের ছেলে জাকির সরকার মৃদুল জানান, তার স্বামী পরিত্যক্তা চাচাতো বোনের সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। তাদের আপত্তিকর একটি ছবি একই এলাকার রুপম নামে এক যুবক হাতে পায়। এরপর থেকে রুপম তার বোনের সঙ্গে সম্পর্ক করতে চায়। কিন্তু বোন রাজি না হলে রুপম ওই ছবিগুলো বিভিন্নজনের মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দেয়।
মৃদুল আরও বলেন, তার বোন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির শোরুমে চাকরি করতেন। সেখানেও ছবিগুলো পাঠানো হয়। এতে তার বোনের চাকরি চলে যায়। পরে এ বিষয়ে তার বাবা হাসান সরকার স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরের কাছে নালিশ করেন। কয়েক দিন আগে পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম এলাকায় সালিশ বসিয়ে রুপমকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা না দিলেও সালিশ মেনে নিয়ে টাকা পরে দেবে বলে জানায় রুপম।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভবেরবাজার এলাকায় মেহেরা পাম্পের সামনে সালিশের জরিমানার টাকা নিয়ে রুপমের সঙ্গে হাসান সরকারের তর্ক-বিতর্ক হয়। এরপর হাসান সরকার পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে রুপম ধারালো অস্ত্র নিয়ে পেছন থেকে হামলা করে হাসান সরকারের মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে তিনি মারা যান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আবদুর রশিদ বলেন, ঘটনার পর থেকেই রুপম পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
