রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজধানীতে হঠাৎ বিস্ফোরণ, দগ্ধ একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ জিতু (২৮) নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টায় আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়। তবে এখনো বিস্ফোরণের কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

গতকাল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, শুক্রবার তেজগাঁওয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ জিতু ও ইয়াসিনকে তাদের ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আইসিইউতে পাঠানো হয়। পরে জিতু রাত সাড়ে ৩টায় আইসিইউর ১০ নম্বর বেডে মারা যান। তার শরীরের ৬৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আর দগ্ধ ইয়াসিন তালুকদার (৩২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, জিতু ঢাকা কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। বিসিএস দিয়েছেন দুবার কিন্তু টেকেননি। এবারও তার বিসিএস দেওয়ার কথা ছিল। নেদারল্যান্ডস যাওয়ার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কাগজপত্র চলে এসেছে কিন্তু তার আর নেদারল্যান্ডস যাওয়া হলো না। জিতুর বাড়ি পাবনার আতাইকুলা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আহসাদুল ইসলাম। এদিকে তেজগাঁওয়ের পূর্ব তেজতুরী বাজার এলাকার ছয়তলা একটি ভবনের তিনতলার একটি ফ্ল্যাটে ওই বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, কোনো কারণে ওই ফ্ল্যাটে মিথেন গ্যাস জমে ছিল বলে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ভবনটির নিচতলার স্যানিটারি দোকানের মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, হঠাৎ বিকট শব্দে পুরো ভবন কেঁপে ওঠে। দোকান থেকে বের হয়ে দেখেন দুজন শরীরে আগুন নিয়ে নিচে নেমে আসছেন। পরে তাদের শরীরে পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়।  জানা গেছে, ঘটনার পর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর