রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নিঃস্ব হাজার পরিবার

টঙ্গীতে আগুনে নিখোঁজ এক শিশু

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

নিঃস্ব হাজার পরিবার

টঙ্গীতে আগুনে পুড়ে গেছে ১ হাজার বস্তিঘর। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টায় টঙ্গীর ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি মাজার বস্তিতে ভয়াবহ আগুনে প্রায় ১ হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। ঘটনার সময় মালামাল সরাতে গিয়ে ইয়াসিন, মিনু, আতিকসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া এক শিশু নিখেঁাঁজ রয়েছে। আগুনের খবর পেয়ে টঙ্গী, উত্তরা, কুর্মিটোলা ও পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরেজমিন জানা যায়, টঙ্গী বাজারের পশ্চিম পাশে হাজি মাজার বস্তির পূর্বপাশের অংশে ভোরে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বস্তির মধ্যদিয়ে কোনো সড়ক না থাকায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কাজ শুরু করতে করতেই ততক্ষণে প্রায় ১ হাজার বসতঘর পুড়ে যায়। তবে বস্তিবাসীদের অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কারণে বেশিসংখ্যক ঘর পুড়ে গেছে। অগ্নিকাে র সূত্রপাত নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। কেউ বলছেন আগুন পোহাতে গিয়ে, আবার কেউ বলছেন শত্রুতাবশত আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বস্তির কয়েজন বাসিন্দা বলছেন, এক নারী শ্রমিক তাঁর তিন সন্তাকে ঘরে তালাবদ্ধ রেখে রাতে কাজে যান। ওই ঘর থেকে দুই শিশুকে বের করা হয়েছে, একজনের খোঁজ মিলছে না।  ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিখোঁজ শিশুর বিষয়ে কিছু বলছে না। এদিকে, ঘটনার পর বস্তির লোকজন পার্শ¦বর্তী হোন্ডা রোড, এস মজিবুল্লাহ রোড ও আইআরআই রোডে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন। কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন সরকার লোকজন নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন এবং তাঁর ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সকালে খাবারের ব্যবস্থা করেন। টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান বলেন, তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এখন আগুন নির্বাপণ ও ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে।

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. মানিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে টঙ্গী উত্তরা ও ঢাকাসহ ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখন সার্সিং চলছে। কেউ নিখোঁজ থাকলে সেটা বেরিয়ে আসবে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর