নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে ফোনালাপের মাধ্যমে উসকানির অভিযোগের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীর নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে তাদের নামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দুজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল সিএমপি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।  ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দুটি করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন। ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কাছে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মধ্যে আমীর খসরুর মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে কুমিল্লায় অবস্থানরত ছাত্রদল নেতা মিলহানুর রহমান নাওমীর টেলিফোনে একটি কথোপকথন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমীর খসরুর কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, ঢাকায় এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে।

আমীর খসরুর উসকানির জেরে আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তার কথার জেরেই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়। সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার (ডিসি) ফারুকুল হক বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিলহানুর রহমান নাওমীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। বুধবার বিকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় গুহ চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেন। তাদের নামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দুজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।