খাগড়াছড়ির রামগড় থেকে এক নারী ও শিশু সন্তানের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- খালেদা আক্তার (২৫) ও তার চার মাস বয়সী শিশু সালমা। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে স্বামী সোলায়মান। পুলিশ জানায়, সোলায়মান-খালেদার সংসারে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। এর জেরে ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেন সোলায়মান। পরদিন ঘরে তালা লাগিয়ে স্থানীয়দের চট্টগ্রাম যাচ্ছেন বলে পালিয়ে যান।
এদিকে পরিবারের সদস্যরা খালেদা ও শিশু সন্তানের হদিস না পেয়ে গতকাল বিকালে ওই ঘরের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। ঘরের বিছানায় লেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় মা ও শিশু সন্তানের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুজ্জামান বলেন, কৃষক সোলায়মানের বিরুদ্ধে প্রেমঘটিতসহ এলাকায় বহু অভিযোগ রয়েছে। সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এসব কারণে নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়েছেন সোলায়মান। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।গোবিন্দগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের চুঙ্গুরা আদিবাসী পল্লী থেকে গতকাল স্বামী অনিল মরমু (৪০) ও সুমি হেমব্রমের (৩৬) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অনিল মরমু ওই গ্রামের মৃত হিরণ মরমুর ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বৈরাগীর হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মিলন চ্যাটার্জি বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অনিল মরমুর লাশ শয়ন ঘরের ধরনার সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং সুমির লাশ ঘরের বারান্দায় একটি খাটের ওপর পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ লেগে থাকত। মদপান করে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার পর অনিল মরমু ফাঁসিতে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে স্থানীয়দের ধারণা। তাদের ১৬ ও ১১ বছর বয়সী দুই কন্যাসন্তান আছে।