সুনামগঞ্জে আদালত এলাকায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খোকন মিয়া নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে এ চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত খোকন মিয়া জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গলাখাই গ্রামের ফটিক মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন আইনজীবী ও আইনজীবীর সহকারীরা। তারা হলেন- গলাখাই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ফয়েজ আহমদ, আফরোজ মিয়ার ছেলে সাজিদ মিয়া ও সেবুল মিয়া। ঘটনায় জড়িত শাহান নামের অপর এক যুবক পুলিশের জিম্মা থেকে পালিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গলাখাই গ্রামের খোকন মিয়ার সঙ্গে খুনের ঘটনায় জড়িত চার যুবকের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। তারা পরস্পর চাচাতো ভাই। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। গতকাল নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজিরা দিতে এলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আইনজীবী সমিতির সামনে খোকন মিয়াকে একা পেয়ে ফয়েজ, সাজিদ, সাহান ও সেবুল উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। বিষয়টি দেখে উপস্থিত জনতা, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা এগিয়ে এসে ফয়েজ, সাজিদ ও সেবুলকে ধরে আইনজীবী সমিতিতে আটকে রাখেন। সাহান নামের অপর একজন পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হন। তাকে আদালত এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের জিম্মায় দিলে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। আটক তিনজনকে ছুরিসহ পুলিশে সোপর্দ করেছেন আইনজীবীরা। ছুরিকাঘাতে আহত খোকন মিয়াকে আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে বেলা ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. রফিকুল ইসলাম চুরিকাঘাতে আহত খোকন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার লাশের ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে। বেলা দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আইনজীবীদের সহযোগিতায় যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার কারণ জানা হবে। এ ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্তৃক দায়িত্ব পালনে অবহেলার কোনো প্রামাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
