উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে শুভ্র সাদা বরফে আচ্ছাদিত পর্বতশৃঙ্খ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে। ভোরের আঁধার কেটে সূর্যের হালকা আলোর সময় এবং বিকাল থেকে সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে এ পর্বত।
প্রসঙ্গত, হেমন্তের শেষে এবং শীত ঋতুর শুরুতে প্রতি বছরই কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্ঘকে এভাবে দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া পঞ্চগড়ে শীতের আগমনের সময় এটি দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বছরের এই সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় আর বাতাস ধুলা মেঘ-কুয়াশামুক্ত থাকায় অনেক দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘা পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও থেকে। বিগত কয়েক বছর ধরে একই সময়ে এ জেলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। তবে গতবারের চেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে এবার আরও পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। উল্লেখ্য, কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতটি অবস্থিত ভারতের সিকিম ও নেপালে। এর উচ্চতা ২৪ হাজার ১৬৯ ফুট বা ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার। পর্যটকদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় একটি আকর্ষণ কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভারতের অন্যতম শৈল শহর দার্জিলিং, কলিম্পংয়ের প্রধান আকর্ষণও কাঞ্চনজঙ্ঘা। তাই নিজের দেশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য একপলক দেখতে অনেকেই ছুটে আসছেন ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে। ফাঁকা মাঠ, উঁচু দালান ও ফসলের মাঠে সাত সকালে, দুপুরে ও বিকালে অবস্থান করছেন অনেকেই। এমন দর্শনার্থীর একজন আশরাফুল ইসলাম। পেশার সুবাধে থাকেন ঢাকায়। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়িতে এসেছেন তিনি। ১ নভেম্বর বিকালে ছোট্ট সোনামণিদের নিয়ে বেড়িয়েছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার উদ্দেশ্যে। উপজেলার স্থানীয় হুসাইন আহমেদ নামে এক যুকবও আসেন কয়েকজন মিলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেতে। তিনি বলেন, ভবিষত্যে সিকিম বা নেপাল যেতে পারব কি না তার কোনো ঠিক নেই। তবে সিকিম বা নেপালে অবস্থিত কাঞ্চনজঙ্ঘা ঠাকুরগাঁও থেকে দেখতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
রংপুর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার উদ্দেশ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে আত্মীয়ের বাসায় এসেছেন নূর জামাল। তিনি জানান, সকাল থেকে তিনি অবস্থান করছিলেন সদর উপজেলার বুড়িবাঁধ এলাকায়। তবে সকালে আসতে একটু দেরি হওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা তখন দেখতে পারেননি। অধির অপেক্ষার পর বিকালে স্বচোখে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পেতে তিনি মুগ্ধ ও খুশি।