সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কুয়াশায় ৬ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ, দুর্ভোগ

রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ঘন কুয়াশায় ৬ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী ও চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় মাঝ নদীতে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আটকা পড়ে দুটি ফেরি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্র্র্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউএ) ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন বলেন, রবিবার সকাল ৬টায় সময় পদ্মা নদীতে কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। দুপুর  ১২টার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী ও চালকরা দুর্ভোগে পড়েন। সরেজমিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দেড় কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে। পদ্মা সেতু হয়ে চলাচলের রুট পারমিট না থাকার কারণে তাদের দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়।

বাসে আটকে পড়া যাত্রীরা বলেন, দুর্যোগের সময় রুট পারমিট পরিবর্তন করা উচিত। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি কম হবে। অনেক যাত্রী বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর ছয় ঘণ্টা কুয়াশার কারণে ফেরিঘাটে আটকে থাকাটা কষ্টদায়ক। ঘাটে আটকে পড়া মোটরসাইকেল আরোহীরা বলেন, পদ্মা  সেতু চালু হলেও তারা সুবিধা পাচ্ছেন না। যে কারণে ৬ ঘণ্টা দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আটকে থাকতে হচ্ছে। যাত্রীরা অভিযোগ করেন দেশের সড়ক ও মহাসড়ক উন্নত হয়েছে। রাস্তায় অনেক অবৈধ যানবাহন চলাচল করেন। সমস্যা শুধু মোটরসাইকেলে। পদ্মা সেতু দিয়ে বাইক পার করা গেলে আমরা নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে যেতে পারতাম। ঘন কুয়াশার কারণে চলতে না পারায় পাটুরিয়া ঘাটে ছয়টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে চারটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দুপুর সাড়ে ১২টায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় প্রান্তে প্রচুর যানবাহন পারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে।

সর্বশেষ খবর