বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাদারীপুর জেলা কমিটির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে দুই নেত্রীসহ তিনজনকে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার চরপ্রসন্নদী বরিশাল গেট চাইনিজ রেস্টুরেন্টে (হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট) এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাদারীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুল তামিম আশিক (২৩), কিরণ আক্তার (২৬) ও মিথিলা ফারজানা নীলা (২৩) । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানান, মঙ্গলবার দিনব্যাপী একটি মিনি ট্রাকে করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের বাড়ি বাড়ি মৌসুমি ফল পৌঁছে দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব জাবের বিন নূরসহ সংগঠনের মাদারীপুর জেলা কমিটির নেতা-কর্মীরা। ফলগুলো বিতরণ শেষে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া থেকে ট্রাকে করেই ফিরছিলেন। পথমধ্যে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মিজান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের শ্রমিকরা তাদের মিনি ট্রাকে থাকা নারী নেত্রীদের ইভ টিজিং করেন। মুকসুদপুরের চরপ্রসন্নদী এলাকার বরিশাল গেট রেস্টুরেন্টে এসে গাড়িটি দাঁড়ালে ইভ টিজিংয়ের কারণ জানতে চান বৈষম্যবিরোধী নেতারা। এ সময় গাড়ির শ্রমিকরা নেতা-কর্মীদের গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে রেস্টুরেন্টের ছাদে থাকা একদল কিশোর লাঠিসোঁটা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাদারীপুর জেলা কমিটির সদস্যসচিব মাসুম বিল্লাহ জানান, ‘রাজৈরের পাইকপাড়া ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সোবহান মুন্সীর বাড়িতে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ মৌসুমি ফল দিয়ে আসার সময় মিজান পরিবহন নামে একটি বাস আমাদের মিনি ট্রাককে চাপ দেয় এবং গাড়ির হেলপার আমাদের নেত্রীদের টিচ করে (কুরুচিপূর্ণ কথা বলে)। এ নিয়ে কথা বললে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।’ এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’