শিরোনাম
বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ শতাংশই বহন করে পরিবার

ইউনেস্কোর গবেষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ শতাংশই বহন করে পরিবার

বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ শতাংশ বহন করে পরিবার। এনজিও স্কুলে ফি সরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় তিন গুণ এবং বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনের ক্ষেত্রে এ ব্যয় নয় গুণ বেশি। গতকাল বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ইউনেস্কোর ‘গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন তৈরিতে যুক্ত ছিল ব্র্যাক, ইউনেস্কোসহ নয়টি প্রতিষ্ঠান।

প্রতিবেদনে বলা হয়- পাকিস্তানে শিক্ষা ব্যয়ের ৫৭ শতাংশ বহন করে পরিবার। নেপালে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় পরিবারের ব্যয় ৬৩ শতাংশ এবং কারিগরি-বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে পরিবার ব্যয় করে ৭৫ শতাংশ। যেখানে সরকারি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে এ ব্যয় ৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে- ভারতে শীর্ষ ২০ শতাংশ পরিবার নিচের ২০ শতাংশ পরিবারের তুলনায় সরকারি, বেসরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এবং অনুদানবিহীন সব রকম স্কুলে প্রায় চার গুণ বেশি ব্যয় করে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে সরকারি স্কুলের তুলনায় বেসরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এবং অনুদানবিহীন স্কুলে পাঁচ গুণ বেশি ব্যয় করেছিল পরিবার।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ১২ শতাংশ পরিবার সঞ্চয় করে এবং ৬ শতাংশ পরিবার স্কুলের ফি মেটাতে ঋণ করে।

বাংলাদেশে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পরিবার ঋণ করে বেসরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনার খরচ মেটায়। ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণকারীদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের জন্য কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বৃদ্ধি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফির ওপর কর আরোপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। ফলস্বরূপ কিছু সিদ্ধান্তের পরিবর্তনও হয়েছিল। এ ছাড়া বলা হয়- বাংলাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার দায়িত্ব দুটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ভাগ হওয়ায় পাঠ্যক্রম, শিক্ষক, শিক্ষার গুণগত মান ও অন্যান্য মানদন্ডের ক্ষেত্রে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি বাধাগ্রস্ত করছে। বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়গুলো দেখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আর মাধ্যমিক শিক্ষার দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে আলাদা দুটি মন্ত্রণালয় হলেও বড় বিষয়গুলো দুই মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করে। সে ক্ষেত্রে প্রতিবেদনে যে প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরা হয়েছে তা আসলে সঠিক নয়। কোনো বিষয়ে জটিলতা তৈরি হলে দুই মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে তার সমাধান করে বলে জানান মন্ত্রী।

সর্বশেষ খবর