চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে আগের কোটা অনুযায়ী ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। একই সঙ্গে উঠে গেছে করোনাকালীন দেওয়া ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ পালনের নিষেধাজ্ঞা। এ বছর থেকে সামর্থ্যবান সব বয়সী ব্যক্তিই হজ পালন করতে সৌদি আরবে যেতে পারবেন। এমন বিধান রেখে সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। গতকাল সকালে সৌদি আরবে এ চুক্তি হয়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গতকাল সকাল ১০টার দিকে সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়াহ সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী এবার সরকারিভাবে ১৫ হাজার এবং বাকি ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজে যেতে পারবেন। হজ টিমের (প্রশাসনিক ও মেডিকেল) সদস্য হিসেবে সৌদি আরবে যেতে পারবেন ১ হাজার ২৭০ জন। এবার রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই হবে। হজযাত্রীদের অবশ্যই কভিড টিকা নিতে হবে। জেদ্দা দিয়ে ৭০ শতাংশ এবং মদিনা দিয়ে ৩০ শতাংশ হজযাত্রী আসা-যাওয়া করবেন। বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম ই-হজ ব্যবস্থাপনার আওতায় অনলাইনে হবে বলেও জানান আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন।

হজচুক্তি ছাড়াও সৌদি আরবের হজ ও ওমরা কনফারেন্স এবং এক্সিবিশনে অংশ নিতে গত ৭ জানুয়ারি সৌদি আরবে যান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।

করোনাভাইরাস মহামারির আগে ২০১৯ সালে স্বাভাবিক হজ হয়েছে। তখন বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করেন। ২০২০ সালের জন্য বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে হজ সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়, সেখানে বাংলাদেশিদের হজযাত্রীর কোটা ১০ হাজার বাড়ানো হয়। ২০২০ সালে ১ লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি হজে যেতে পারতেন। কিন্তু করোনার কারণে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ থেকে কেউ হজ পালন করতে পারেননি। ২০২১ সালেও বিদেশিদের জন্য হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা ছিল। করোনা মহামারি কমে এলে গত বছর (২০২২) বিভিন্ন দেশ থেকে কোটা অর্ধেক করে হজ পালনের অনুমতি দেয় সৌদি আরব। বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার মুসলমান হজ পালন করেন। করোনা মহামারির কারণে গত বছর ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। চলতি বছর সৌদি সরকার স্বাভাবিকভাবে হজ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।