রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সংসদে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট জমির পরিমাণ ৫৮ হাজার ৪৬৯ দশমিক ৯১৪৯ একর। রেলের এসব জমির মধ্যে লিজ দেওয়া রয়েছে ১৫ হাজার ৮৯ দশমিক ২২১৩ একর। এ ছাড়া রেলের বেদখল জমির পরিমাণ ২ হাজার ৮১৭ দশমিক ১২৩ একর। এসব জমিতে দোকান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বস্তি, ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয় এবং ক্লাব রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব সংসদের ২১তম অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে সরকারি দলের এমপি হাবিব হাসানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। সংসদে দেওয়া রেলপথমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট জমির পরিমাণ ৫৮ হাজার ৪৬৯ দশমিক ৯১৪৯ একর। এর মধ্যে লিজ দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার ৮৯ দশমিক ২২১৩ একর। আর বেদখল জমির পরিমাণ ২ হাজার ৮১৭ দশমিক ১২৩ একর। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে ৯৬ দশমিক ৪৩২ হেক্টর এবং পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে ১ হাজার ৪৪ দশমিক ১০৩ হেক্টর। পরে  রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, নিয়মিত রেলভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য উচ্ছেদ কার্যক্রম নেওয়া হয়।

ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন চালুর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হচ্ছে : একই এমপির অপর প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটেনারি ও সাব-স্টেশন নির্মাণসহ) চালুর জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিকল্পনা কমিশন ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর অনুমোদিত হয়েছে। পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে।

আগামী ৩০ বছর মেয়াদি রেলওয়ের মাস্টারপ্লান (২০১৬-২০৪৫) বাস্তবায়ন হলে সব জেলা রেল নেটওয়ার্কে আসবে।