আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পথহারা হয়ে বিএনপি এখন পদযাত্রা করছে। বিএনপি নেতাদের প্রতি তাঁর আহ্বান : এসব পদযাত্রা বন্ধ করে নির্বাচনের দিকে যাত্রা করুন। ওবায়দুল কাদের গতকাল রূপগঞ্জে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-১) প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রথম পাতালরেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন। বেলা ১১টার দিকে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি মূলত দ্বিতীয় মেট্রোরেল ও প্রথম পাতালরেল।
সরকারবিরোধীদের প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে, এটা আর হবে না। আন্দোলনের মরণযাত্রায় না গিয়ে নির্বাচনের যাত্রায় আসুন। ইলেকশনে যদি হারাতে পারেন আমরা বিদায় নেব! তিনি বলেন, মেট্রোরেলের আকর্ষণ দুর্দমনীয়। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়েছে। সারা বাংলাদেশ থেকে মানুষ এটায় একবার উঠতে এসছে। কী আকর্ষণ, কী ক্রেজ! চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। মোট ছয়টা মেট্রোলাইন ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা আধুনিক গণপরিবহনে সাজবে। এ বছরই আমরা মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন নিয়ে আসব।
জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ৫২ হাজার কোটি টাকার ৪০ হাজার কোটিই জাপানের টাকা। জাপান আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। সরকারবিরোধীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে। মাত্র শুরু হয়েছে উদ্বোধন। এই উদ্বোধনের জ্বালা, পদ্মা সেতুর জ্বালা, বঙ্গবন্ধু টানেলের জ্বালা, ১০০ সেতুর জ্বালা, জ্বালায় জ্বালায় অন্তর্জ্বালায় পুড়ে মরে যাচ্ছে। এ উন্নয়ন থেমে থাকবে না। লাল কার্ড দেখছেন না! ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন! তারেক জিয়ার আগমন! সবই ভুয়া! ৫৪ দল ভুয়া, ২৭ দফা, ১৪ দল সব ভুয়া। ডান আর বাম সব এককাতারে একাকার। পথ হারিয়ে বিএনপি এখন পদযাত্রায় নেমেছে। তিনি বলেন, এ মাটি ও মানুষের মাঝে শেখ হাসিনার অস্তিত্ব। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। আপনারা প্রস্তুত থাকেন। খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শেখ হাসিনা ভাবেন। তার পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। এর জন্য দরকার সুশৃঙ্খল স্মার্ট কর্মী বাহিনী। খেলার জন্য স্কিলড কর্মী হতে হবে। বেশি নেতার দরকার নেই। নেতা একজন শেখ হাসিনা। সবাই কর্মী হতে পারলে কাজে-চেতনায়, বিজয় হবেই।