ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে ঠিক করায় রংপুরের পীরগাছায় বিয়ের আসরেই নিজের মেয়ের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা এক বাবা। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পীরগাছা সদর ইউনিয়নের তালুকইসাদ দাঁরারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে করে আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত পুলিশ কর্মকর্তা ফজল হক (৪০) রংপুর রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) কর্মরত। আহত বাবা বাদী হয়ে দুই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় দুই মেয়েকে গ্রেফতার করে গতকাল বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের পুলিশ কর্মকর্তা ফজল হকের বড় মেয়ে ফারজানা আক্তারের (২২) সঙ্গে তিন মাস আগে নৌবাহিনীতে কর্মরত এক যুবকের বিয়ে নিবন্ধন হয়। শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বরযাত্রী আসে সন্ধ্যায়। রাত ১০টার দিকে বিয়ে পড়ানোর সময় মেয়ে রাজি কি না, জানতে তার রুমে গেলে তিনি তার বাবার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চান। এ সময় বিয়ের উকিলসহ সবাই রুমের বাইরে বের হলে মেয়ে ফারজানা আক্তার তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ায় পিতা ফজল হকের গলায় ছুরি চালিয়ে দেন। পরে উপস্থিত লোকজন আহত ফজল হককে উদ্ধার করে বরযাত্রী বহন করা মাইক্রোবাসে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
পীরগাছা থানার ওসি মাসুমুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় আহত বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় দুই মেয়ে ফারজানা ও ফারহানাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।