মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে তুহিন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পুরা বাজার সংলগ্ন এলাকায় তুহিনকে বেধড়কভাবে পেঠানো হয়।
গতকাল সকাল ৮টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তবে তুহিন হত্যা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। নিহত তুহিন সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বড় মোল্লাকান্দি এলাকার আলমগীর সরকারের ছেলে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা ও বর্তমান চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারীর মধ্যে বিরোধ চলছে। তবে তুহিন রাজনীতিতে সক্রিয় না। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করেছে তা জানা নেই।
তুহিনকে কারও সঙ্গে কখনো মারামারিতে জড়াতে কেউ দেখেনি। স্থানীয়রা আরও জানায়, সোমবার টঙ্গিবাড়ীর পুরা ডিসি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে তুহিনকে তুলে নিয়ে কে বা কারা এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুহিনের মৃত্যু হয়। ইউপি চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারী বলেন, আমার পক্ষে কাজ করায় মহসিনা হক কল্পনার লোকজন পূর্ব থেকে তুহিনের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। সোমবার তাকে তুলে নিয়ে কল্পনার পক্ষের সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রাখে। স্থানীয়রা তুহিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
পূর্ব বিরোধের বিষয়টি অস্বীকার করে মহসিনা হক কল্পনা বলেন, হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমার পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে।
টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, মারামারির ঘটনায় যুবকের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। ময়নাতদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
