বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

করদাতা সুরক্ষা পরিষদের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কার্যালয় (নগর ভবন) ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ ও ছাত্রলীগ। পরিষদের নেতা-কর্মীরা গতকাল মিছিল নিয়ে নগরের টাইগারপাস মোড়ে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে পরিষদের নেতা-কর্মীরা টাইগারপাস মোড়ে অবস্থান নেন। এরপর সেখানে ছাত্রলীগের একদল কর্মী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মীদের সরিয়ে দেয়। জানা যায়, গলাকাটা গৃহকর নির্ধারণের প্রতিবাদে করদাতা সুরক্ষা পরিষদ নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয়। এ লক্ষ্যে গতকাল নগরের কদমতলীর আবুল খায়ের মার্কেট চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে নগর ভবনে যাচ্ছিল পরিষদ। তবে পুলিশ ও ছাত্রলীগের বাধায় নগর ভবন ঘেরাও করতে পারেনি তারা। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পরিষদকে নগর ভবনে যেতে দেওয়া হয়নি।

জানা যায়, করদাতা সুরক্ষা পরিষদের কর্মসূচি শুরুর আগেই নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা দেয় চসিক। এতে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। চসিকের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীও অফিসে ঢুকতে পারেননি। এ নিয়ে ফটকে দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটিও হয়। চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, অফিস শুরুর সময় সকাল ৯টা। নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে হাজির থাকতে হবে। এই নিয়ম কার্যকর করতে প্রধান ফটকে তালা দেওয়া হয়েছে। চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে কর পুনর্মূল্যায়ন করে চসিক। পুনর্মূল্যায়নের পর নগরের বার্ষিক কর নির্ধারণ করা হয় ৮৫১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। পুরনো নিয়মে তা ছিল ৩৪৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। নতুন কর পুনর্মূল্যায়নের পর সরকারি খাতের করদাতা প্রতিষ্ঠান দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৪৭টি। এর বিপরীতে বার্ষিক কর নির্ধারণ করা হয় ২৮০ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতে ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান দাঁড়ায় ১ লাখ ৮২ হাজার ৭০০। বিপরীতে বার্ষিক কর ধরা হয় ৫৭১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। নতুন কর পুনর্মূল্যায়নে স্থাপনার আয়তনের পরিবর্তে ভাড়ার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়। এর বিরুদ্ধে করদাতা সুরক্ষা পরিষদসহ বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের মুখে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর তা স্থগিত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ১৮ জানুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। জুলাই থেকে তা কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয় চসিক। এখন তা আদায়ের কার্যক্রম চলছে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর