বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মৃত প্রচার করে আত্মগোপনে থেকেও লাভ হলো না

নিজস্ব প্রতিবেদক

মৃত বলে প্রচার করে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা নারী পাচারকারী চক্রের দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) যশোর জেলা। ৯ এপ্রিল রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট পূর্বপাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন মজনু বিশ্বাস ও তার স্ত্রী মাজেদা খাতুন।

গতকাল পিবিআই সদর দফতরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী যশোর কোতোয়ালির শেখহাটি জামরুলতলা গ্রামের এক ব্যক্তির স্ত্রী। প্রায় তিন বছর যাবৎ ভুক্তভোগী তার স্বামীসহ শেখহাটি জামরুলতলার আসাদের টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। একই বাড়িতে মজনু বিশ্বাস ও তার স্ত্রী মাজেদা খাতুন ভাড়া থাকতেন। একই বাড়িতে বসবাসের সুবাদে মজনু বিশ্বাস ও মাজেদা খাতুনের সঙ্গে ওই ভুক্তভোগীর সখ্য গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে মজনু বিশ্বাস ও মাজেদা খাতুন দম্পতি তাকে ভারতে পাচার করে পতিতাবৃত্তি করানোর পরিকল্পনা করতে থাকেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দম্পতি ভুক্তভোগী গৃহবধূকে ভারতে নিয়ে ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখান। গত বছরের ১৭ মে বিকালে তাকে তার ভাড়া বাসা থেকে বের করে নিয়ে যান এবং অবৈধভাবে চৌগাছা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে সুরাটে নিয়ে যান। সেখানে থাকা মজনু বিশ্বাসের চাচাতো শ্যালক সোহাগ সরদারের কাছে বিক্রি করে দেন। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ তাদের অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে পালিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু আসামিরা তাকে খুন করার হুমকি দিয়ে আটকে রাখেন। সেখানে সোহাগ সরদার ও তার স্ত্রী মিম বেগম ওরফে জয়া ওরফে রিয়া বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওই গৃহবধূকে জোর করে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত করান। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। পিবিআই জানায়, মজনু বিশ্বাস ও মাজেদা খাতুনের বাড়ি নড়াইলে। তদন্তকালে তাদের তথ্য সংগ্রহের সময় মজনু বিশ্বাস মৃত বলে জানা যায়। এমনকি আসামি মজনু বিশ্বাস মৃত বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানও প্রত্যয়ন প্রদান করেন। কিন্তু পিবিআই যশোর জেলা বিষয়টি নিয়ে গভীর তদন্ত শুরু করে মজনু বিশ্বাস জীবিত রয়েছে বলে নিশ্চিত হয়। মজনু ও তার স্ত্রী পেশাদার মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য।

 

 

 

সর্বশেষ খবর