রবিবার, ২১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
রাতদিন প্রচারণায় প্রার্থীরা

মাঠে খালেক ছাড় দিচ্ছেন না মধু আউয়াল

খুলনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঘরোয়া বৈঠক, শুভেচ্ছা বিনিময় বা মতবিনিময় সভায় ব্যস্ততম সময় পার করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক।

গতকাল সকাল থেকে তিনি খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ, খুলনায় বসবাসকারী রামপাল- মোংলাবাসী ও খুলনা হাজী ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকে মিলিন হন। তিনি খুলনার উন্নয়নে সিটি নির্বাচন ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে প্রচারণার মাঠে ছাড় দিতে নারাজ জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবদুল আউয়াল। তারাও গতকাল আলাদা সাংগঠনিক কর্মী সভায় নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। তফসিল অনুযায়ী খুলনা সিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে ও ভোটগ্রহণ ১২ জুন। জানা যায়, সিটি নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ। নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী প্রকাশ্যে প্রচার-প্রচারণায় বিধিনিষেধ থাকায় ঘরোয়া বৈঠকে তারা সক্রিয় রয়েছেন। গতকাল খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় খুলনার উন্নয়নের স্বার্থে তালুকদার আবদুল খালেককে বিজয়ী করার আহ্বান জানান সিনিয়র নেতারা। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা উপস্থিত ছিলেন। তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, নগরীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপুল অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যথাসময়ে বিশাল এ কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। তবে চলমান উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হলে খুলনা একটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত স্বাস্থ্যকর নগরীতে পরিণত হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আসন্ন নির্বাচনে তিনি সবার দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন। অন্যদিকে মেযর নির্বাচিত হলে নগরবাসীর হোল্ডিং ট্যাক্স ও বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করার অঙ্গীকার করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী আবদুল আউয়াল। তিনি বলেন, বিগত দিনে যারা মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন তারা অস্বাভাবিক ট্যাক্স নির্ধারণের কারণে নগরবাসী বিরক্ত। তিনি বলেন, সম্পদ ও সেবা না বাড়লেও ট্যাক্সের বোঝা বেড়েছে। একইভাবে ঘরোয়া বৈঠকে জাপা প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু নির্বাচিত হলে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির অঙ্গীকার করেন। জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে তালুকদার আবদুল খালেক এক লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পান এক লাখ নয় হাজার ২৫১ ভোট। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুজ্জাম্মিল হক ১৪ হাজার ৩৬৩ ভোট, জাতীয় পার্টির মুশফিক এক হাজার ৭২ ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ৫৩৪ ভোট পান।

 

 

 

সর্বশেষ খবর