শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
বাজেট ভাবনা

মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে

মাহবুবুল আলম

শাহেদ আলী ইরশাদ

মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যেসব মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে, সেগুলোর কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করা প্রয়োজন। এসব প্রকল্প চালু হলে বদলে যাবে চট্টগ্রামের অর্থনীতি। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে কর্ণফুলীতে বঙ্গবন্ধু টানেল, বন্দরের বে টার্মিনাল, মীরসরাই ইকোনমিক জোন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ, সিডিএ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে হবে।

সিসিসিআই সভাপতি বলেন, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামের ওপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। করহার না বাড়িয়ে করের আওতা বাড়াতে হবে। সারা দেশে নতুন করদাতা খুঁজে বের করতে হবে এনবিআরকে। এখন উপজেলা শহরগুলো থেকেও মানুষ অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যক্তি শ্রেণিতে টিআইএনধারীর সংখ্যা প্রায় ৮৬ লাখ। এর মধ্যে মাত্র ৩২ লাখ ব্যক্তি আয়কর রিটার্ন জমা দেন। সবাইকে আয়করের আওতায় আনতে এ জায়গায় সরকারকে নজর দিতে হবে।

মাহবুবুল আলম বলেন, জনবল সংকটের কারণে চট্টগ্রামসহ দেশের সব কাস্টম হাউসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কাস্টম হাউসগুলোর কর্মকর্তাদের নিতে হচ্ছে বাড়তি কাজের চাপ। সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারায় শুল্কায়নে বিলম্ব হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কাস্টমস হাউসের জনবল বাড়াতে হবে। সিসিসিআই সভাপতি বলেন, এইচএস কোডের সমস্যা সমাধান করতে হবে। কারণ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হারমোনাইজড সিস্টেম (এইচএস) কোডের তালিকার বাইরে থাকা নতুন ধরনের কাঁচামাল আমদানিতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। ফলে তালিকায় নতুন কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন নিয়ে রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের ঘুরে ঘুরে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। নতুন কাঁচামালের এইচএস কোডভুক্তিতে সাত দিন লাগার কথা থাকলেও, কোনো ক্ষেত্রে লেগেছে দুই মাস বাড়তি সময়। দীর্ঘদিন ওয়্যার হাউসে পণ্য আটকে থাকায় জরিমানা গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমান মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা উচিত। বিশ্বব্যাপী যেভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে তাতে করমুক্ত আয়সীমা আরেকটু বাড়ানো হলে দেশের মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে। জানা গেছে, ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয় নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করলে তাদের নির্ধারিত হারে আয়কর দিতে হয়। গত ১০ অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সীমা ক্রমশ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক সংগঠনগুলোর দাবি সত্ত্বেও গত দুই বছরে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ায়নি এনবিআর।

 

সর্বশেষ খবর