বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে ‘স্মার্টলি লুটপাটের বাজেট’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, সরকার ঋণ করে ঘি খাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের বাইরে ও ভিতর থেকে সরকার যে ঋণ নিচ্ছে, এটা শোধ করতে হবে বাংলাদেশের মানুষকে। তিনি আরও বলেন, ভাড়া, চাঁদা আর কমিশনভিত্তিক অর্থনীতি করছে সরকার, যার দায়ভার নিতে হচ্ছে জনগণকে। গতকাল বিকালে বনানীতে নিজের বাসভবনে প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট অবশ্যই স্মার্ট বাজেট। এত স্মার্টলি যে, লাখ লাখ কোটি টাকা সরকার বা ক্ষমতাসীন দলের লোকজন পাচার করতে পারবে! এত স্মার্টলি যে, ব্যাংক লুটপাট, সিন্ডিকেট পরিচালনা, জনগণের সম্পদ লুট করতে পারবে! সেই দিক থেকে এই বাজেট স্মার্ট, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, এ বাজেটে অর্থনীতি বিপাকে পড়বে, দেশের জনগণ বিপদে পড়বে। এ বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের চাপ বাড়বে। আওয়ামী লীগের অর্থনীতিতে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা লাভবান হচ্ছে, জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, ঘোষিত বাজেট আসলে সরকার দিচ্ছে নাকি আইএমএফ দিচ্ছে, তা দেখতে হবে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, তাদের বাজেট দিলে সরকার লুটপাট করতে পারবে না। আর যদি আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী বাজেট না করে, সে ক্ষেত্রে আইএমএফের সাপোর্ট পাবে না সরকার। সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বাজেটে বড় বড় অঙ্ক দিচ্ছে, আর দেশের মানুষকে বড় বড় অবকাঠামোর কথা বলছে। বড় বড় অবকাঠামোর মধ্যে বড় বড় চুরি-ডাকাতি ছাড়া তো আমরা কিছু দেখছি না। বড় বড় অবকাঠামোর মধ্যে যে বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে, সে জন্য আজকে ডলার সংকট। ব্যাংকে টাকা নেই, শেয়ারবাজার ধ্বংস হয়ে গেছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে যে স্থিতিশীলতা আমরা গত ৩০-৪০ বছরে সৃষ্টি করেছি সেটা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে।
আমীর খসরু বলেন, দ্রব্যমূল্য কমাতে গেলে সরকারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, টাকার মান বাড়াতে হবে। ডলারের বিপরীতে লুটপাট বন্ধ করতে হবে। না হলে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। জিনিসপত্রের দাম কমানো সম্ভব হবে না।