বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

২ হাজার কোটি টাকা পাওনা বিশ্বের বিভিন্ন বিমান সংস্থার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের কাছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি বিশ্বের বিভিন্ন বিমান সংস্থার পাওনা রয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)। গত রবিবার আইএটিএর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমান সংস্থাগুলো পাওনার অধিকাংশই আটকে আছে বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। সবচেয়ে বেশি পাওনা রয়েছে নাইজেরিয়ার কাছে, দেশটির কাছে বিমান সংস্থাগুলোর পাওনা ৮১ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। বাংলাদেশের কাছে পাওনা রয়েছে ২১ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার। বাকি তিনটি দেশ হলো আলজেরিয়া, পাকিস্তান ও লেবানন। তাদের কাছে পাওনা যথাক্রমে- ১৯ কোটি, ১৮ কোটি ও ১৪ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। এ পাঁচটি দেশের কাছে আটকে আছে মোট পাওনার ৬৮ শতাংশ। ২০২২-এর এপ্রিলের তুলনায় এ বছরের এপ্রিলে পাওনা ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। আইএটিএ বলছে, বিশ্বের সরকারগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ পাওনা নিরবচ্ছিন্ন উড়োজাহাজ সংযোগের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ বলেন, বকেয়া পাওনা না পেলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সেবা নেওয়া দেশকে আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং চুক্তির বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার আহ্বান জানান আইএটিএ মহাপরিচালক।

৭ ব্যাংকে নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের : আইএটিএর উদ্বেগ প্রকাশের পর বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিভিন্ন বিমান সংস্থার পাওনা পরিশোধ করে দিতে দেশীয় ব্যাংকগুলোকে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশের ৭ ব্যাংকের কাছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে। যদিও আইএটিএ বলছে হিসাবে এই অর্থের পরিমাণ বেশি। বিমান সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন দি ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) গত ৪ জুন এক বিবৃতিতে বিভিন্ন দেশে এয়ারলাইন্সগুলোর আটকেপড়া তহবিলের খতিয়ান দেয়। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আবুল বশর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সংবাদপত্রের খবরে যে পাওনার কথা বলা হয়েছে, তার চেয়ে কম হবে। গত জানুয়ারি থেকে আজ (গতকাল মঙ্গলবার) পর্যন্ত এয়ারলাইনসগুলোর ৪০ কোটি ২১ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ‘সাতটি ব্যাংকের কাছে এয়ারলাইনসগুলোর ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্রুত অর্থ পরিশোধ করে দিতে।’ আইএটিএর দাবিকৃত টাকার অঙ্কের সঙ্গে ফারাকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আইএটিএ যে তথ্য দিয়েছে, আর বাংলাদেশ ব্যাংক খোঁজ নিয়ে যে তথ্য জানতে পেরেছে, তার সঙ্গে মিসম্যাচ রয়েছে।’ হয়ত এমনও দেখা যেতে পারে, এয়ারলাইনসগুলো এখনো অর্থ দাবির বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়নি। এজন্য হয়ত আইএটিএ ও ব্যাংকের তথ্যর মধ্যে ফারাক রয়েছে।

সর্বশেষ খবর