রাজধানীর বাজারগুলোতে গত সপ্তাহের তুলনায় বেশ কিছু সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন ক্রেতারা। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সবজির দাম কমার তথ্য জানা যায়।
বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সবজির বাজারে উত্তাপ কিছুটা কমেছে। পটোল, ঢেঁড়স, কাঁকরোল, চিচিঙ্গাসহ বেশিরভাগ সবজি কেজি কেনা যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। যা আগে ১০-২০ টাকা বেশি ছিল। অন্যদিকে টমেটো ও কাঁচা মরিচের দাম এখনো চড়া। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা। আর কাঁচা মরিচ কেনা যাচ্ছে ১৮০ থেকে ২৪০ টাকায়। শনির আখড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বরবটি, ঝিঙা, ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। পেঁপে, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস। আর জালি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। ডাঁটার মুঠা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। এ ছাড়া লালশাক ১৫ টাকা ও ডাঁটাশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা আঁটি দরে। পুঁইশাক, লাউশাক প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা আঁটি। এ ছাড়া কলমিশাক, পাটশাক ও মুলাশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা আঁটি হিসাবে। এদিকে আবহাওয়া অনুকূলের কারণে ও ফলন ভালো হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে বলে জানান সবজির পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে উল্লেখ করে শনির আখড়া বাজারের বিক্রেতা হানিফ মাহমুদ বলেন, লম্বা ও গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৮০ টাকার মতো। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা প্রতিকেজি, গত সপ্তাহে যা ছিল ৬০ টাকা। করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা প্রতিকেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকা। ধনেপাতা প্রতিকেজি ১০০ টাকা। শনির আখড়া বাজারে সবজি কিনতে এসেছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী রউফ মিয়া। কথা হলে তিনি বলেন, আমি প্রায় প্রতিদিনই সবজি কিনতে যাই। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে দাম এত বেশি ছিল যে অনেক কিছুই কিনতে পারছিলাম না। কিন্তু এখন দাম কমে এসেছে, তাই প্রয়োজনীয় অনেক কিছু কিনতে পেরেছি। অন্যদিকে মুদি বাজারে দুই সপ্তাহ আগে সয়াবিন তেলের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের মতোই বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ কম দেখা গেছে। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে।