নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দুই প্রাইভেট কারের সংঘর্ষে চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। নিহতদের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলে এবং একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আহত চারজন ঢাকা মেডিকেল এবং কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কে পূর্বাচল শেখ হাসিনা সরণির ভূইয়া বাড়ি ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজন রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকার ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম (৭৫) এবং আরেকজন প্রাইভেট কার চালক মিলন মিয়া। অপর দুজনের নাম-পরিচয় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
আহতরা হলেন- নিহত নুরুল ইসলামের ছেলে পাপ্পু, অপর প্রাইভেট কারের চালক শুক্কুর আলী, যাত্রী সজীব ও আরও একজন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার উদ্দীপন ভক্ত জানান, সকাল ১০টার দিকে বেপরোয়া গতিতে আসা কুড়িল বিশ্বরোডগামী একটি যাত্রীবাহী প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ ১২-৪৭৬২) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের এক পাশ থেকে আরেক পাশে ছিটকে পড়ে। এ সময় কাঞ্চনগামী অপর একটি প্রাইভেট কারের (ঢাকা মেট্রো গ ৪৩-৮৩৬৪) সঙ্গে ওই প্রাইভেট কারের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেট কার দুটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে দুই চালক ও যাত্রীসহ আটজন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদ জানান, আহতদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও তিনজনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্য তিনজন হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত দুজনের মধ্যে একজন চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজে আহত দুজনকে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিলন মিয়া নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) আবির হোসেন জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। পাশাপাশি যান চলাচল স্বাভাবিক করতে ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেট কারগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
