ঠাকুরগাঁও-২ আসনে সাতবারের এমপি দবিরুল ইসলামের আসনে লড়ছেন তার বড় ছেলে, ভাতিজা ও ভাগিনী। তিন ভাই-বোনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনি মাঠ। নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। অন্যদিকে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার হিসাব করছেন ভোটাররা।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালীয়াডাঙ্গী, হরিপুর উপজেলা ও রাণীশংকৈল উপজেলার দুটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন ঠাকুরগাঁও-২। এ আসনে সাতবার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দবিরুল ইসলাম। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উত্তরের ভোটের জাদুকর খ্যাত দবিরুল ইসলামের পরিবর্তে নৌকার টিকিট দেওয়া হয়েছে তার ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলামকে। আগের সংসদ নির্বাচনে প্রতিপক্ষ হিসেবে আলাদা দলের প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও এবার ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা। এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দবিরুল ইসলামের মেজো ভাইয়ের ছেলে ও সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা আলী আসলাম জুয়েল ও ছোট বোনের মেয়ে নুরুন নাহার বেগম। আলী আসলাম জুয়েল ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নুরুন নাহার বেগম জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল প্রতীকের। এ ছাড়া এ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির ডাব প্রতীকে রিম্পা আক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোফা সেট মার্কায় আবদুল কাদের প্রচারণা চালাচ্ছেন। ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম জুয়েল বলেন, নৌকার নেতা-কর্মীরা নানাভাবে আমাদের বাধা প্রয়োগ করছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি জয়ী হব। জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল প্রতীকের প্রার্থী নুরুন নাহার বেগম বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। ভোট দিতে আসতে পারলে জয়ী হব।
নৌকার মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, এলাকায় যা উন্নয়ন হয়েছে সব দবিরুল ইসলাম এমপির হাত ধরে হয়েছে। সে কারণে আগামী নির্বাচনেও নৌকাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন ভোটাররা। ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম বলেন, ৩৫ বছরের অধিক সময় ধরে এলাকার মানুষের সেবা দিয়ে আসছি। বার্ধক্যজনিত কারণে আমার পরিবর্তে আমার ছেলেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমার বাকি কাজগুলো সমাপ্ত করতে নৌকা প্রতীককে আগের মতো ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন এলাকাবাসী। ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি সংসদীয় আসনে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে দলীয় প্রতীকে ১০ জন ও স্বতন্ত্র তিনজন। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ১০৪টি ভোট কেন্দ্রে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৬২০ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ইতোপূর্বে যারা জনগণের দ্বারে এসে সেবা পৌঁছে দিয়েছেন ও সুখে-দুঃখে কাছে পেয়েছেন এমন প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার হিসাব করছেন ভোটাররা। শরিফুল ইসলাম নামে এক রিকশাচালক বলেন, এর আগে যাকে বিপদে কাছে পেয়েছি তাকেই ভোট দেব।
