বিএনপির কারাবন্দি নেতাদের কাছে হঠাৎ ক্ষমা চাইলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, জনাব মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস- আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমা চাই। জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকলেও কেবল এ রাষ্ট্রযন্ত্রের জন্য কিছু করতে পারছি না। এ সরকার চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ, তাদের বিশ্বাস করা যায় না। তারা জানে ব্যাংক লুট করতে, দুর্নীতি করতে। আর মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন’ আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহসহ আয়োজক সংগঠনের নেতারা এতে অংশ নেন। বিএনপি নেতা জয়নুল আবদীন ফারুক আরও বলেন, শিগগিরই সরকার পতনের জোড়ালো কর্মসূচি আসবে, সবকিছুর হিসাব নেওয়া হবে। লড়াই করে বাংলাদেশের একদলীয় শাসন বিদায় করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, এ সরকার যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করত, তাহলে ২০১৪ সালে ১৫৪ জন প্রতিনিধিকে সংসদ সদস্য হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন করত না, দিনের ভোট রাতে করত না।
জয়নুল আবদীন আরও বলেন, সরকার আজ বিএনপিকে অবহেলা করে কথা বলে। স্বৈরাচাররা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে। তিনি বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতারা কারাগারে থাকায় কিছুটা হতাশ নেতা-কর্মীরা। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সরকার দিন দিন অবহেলিত হচ্ছে, তাদের পায়ের মাটি সরে যাচ্ছে। রাজপথে লড়াই করে বাংলাদেশের একদলীয় শাসন বিদায় করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, সরকারের লোকরা একদিকে বলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা, অন্যদিকে তৈরি করে সিন্ডিকেট। সে সিন্ডিকেটের টাকা দিয়ে কানাডায় বাড়ি বানানো হয়। অথচ বাংলাদেশের মানুষ একটা ডিম কিনে খেতে পারে না, মাংস কিনে খেতে পারে না। এসবের বিরুদ্ধে যখন আমরা কথা বলি, তখন আগুন সন্ত্রাসের উপাধি দেওয়া হয়।
