অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ফারাহ কবির বলেছেন, ‘দেশের এই সন্ধিক্ষণে অগ্রাধিকার হচ্ছে আন্দোলনের চেতনাকে সমুন্নত রাখা। একই সঙ্গে নতুন গঠিত সরকারকে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বৈষম্যের সংস্কৃতি থেকে সরে যেতে হবে।’ গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের কাছে লেখা এক খোলা চিঠিতে তিনি এসব কথা বলেছেন। ফারাহ কবির বাংলাদেশের নতুন এই অধ্যায় তৈরিতে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা ও অভিবাদন জানান। তিনি বলেন, আমরা দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার, অর্থনীতি রক্ষা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করতে সম্মত হওয়ায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি বলেন, এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, শাসন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুনরুজ্জীবিত করা এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে হবে। এর পাশাপাশি, দারিদ্র্যের ফ্যামিনাইজেশন, প্রান্তিকীকরণ এবং বর্জনের বিষয়গুলো সমাধানের বিষয়টিও মনে রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি। ফরাহ কবির বলেন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বৈষম্যের সংস্কৃতি থেকে আমাদের সরে যেতে এবং পিতৃতন্ত্রের অবসান ঘটাতে সরকারি পরিষেবা এবং অফিসগুলোকে আরও জেন্ডার-সংবেদনশীল হয়ে উঠতে হবে। নারী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘুদের অবদান এবং অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি যথাযথভাবে উপলব্ধি করা হয়নি। তাদের যে সম্ভাবনা রয়েছে তার স্বীকৃতি দেওয়া এবং ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী প্রক্রিয়ায় তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা, সমাজের ক্ষতিকর নিয়মকানুন ও চর্চাগুলো মোকবিলা করে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে সমাজের সর্বস্তরে একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। আর সেটি হচ্ছে, ছাত্রনেতারা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকার কোনো প্রকার সহিংসতাকে প্রশয় দেবে না। এই এনজিওকর্মী আরও বলেন, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ যেসব সম্প্রদায় এবং কর্মীদের সঙ্গে কাজ করে থাকে তাদের পক্ষ থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক এবং জেন্ডার-সংবেদনশীল পাবলিক সার্ভিস এবং গভর্নেন্সের ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের বিষয়কে অগ্রাধিকার প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছে।