তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে আগামীকাল সকাল থেকে কাকরাইল এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুবায়েরপন্থিরা। একই সঙ্গে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ এবং তাবলিগের প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের কোনো কার্যক্রম চালাতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল কাকরাইল মসজিদ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে এসব ঘোষণা দেন জুবায়েরপন্থিরা, যারা নিজেদের ‘শুরায়ে নিজাম’ পরিচয় দিয়ে থাকেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন উত্তরার জামিয়াতুল মানহাল আল কওমিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কেফায়েতুল্লাহ আজহারী। তিনি বলেন, সাদপন্থিদের সব কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে; টঙ্গীতে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে; কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গীর ইজতেমা মাঠসহ তাবলিগের সব কার্যক্রম ‘শুরায়ে নিজামের’ অধীনে করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সাদপন্থিদের ‘সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি বাহিনী’ আখ্যা দিয়ে কেফায়েতুল্লাহ আজহারী বলেন, তাদের হোতাসহ অনেকের নামে মামলা হয়েছে। তবে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান হচ্ছে না। ১৭ ডিসেম্বর মাঠের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ও তাদের দোসররা যোগসাজশ করে সাদপন্থিদের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি নীলনকশা করেছিল। তাদের এই নীলনকশা বাস্তবায়নে পাশের একটি দেশ এবং ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলে কিছু জাতীয় দৈনিকে ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।