বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)-এর এক গবেষণায় উঠে এসেছে বায়ূদূষণের ভয়াবহ চিত্র। ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে ৩ হাজার ১১৪ দিনের মধ্যে মাত্র ৩১ দিন (১%) নির্মল বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে ঢাকাবাসীর। ৬২৪ দিন (২০%) মাঝারি বায়ু, ৮৭৮ দিন (২৮%) সংবেদনশীল বায়ু, ৮৫৩ দিন (২৭%) অস্বাস্থ্যকর, ৬৩৫ দিন (২১%) খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৯৩ দিন (৩%) দুর্যোগপূর্ণ বায়ু গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছেন রাজধানীর বাসিন্দারা। গত বছর ঢাকার বাতাস ভালো ছিল মাত্র দুই দিন।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)-এর যৌথ উদ্যোগে ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২৫ : বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ -শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এ তথ্য তুলে ধরেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক এবং ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। অনুষ্ঠানে দেশের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় পরিবেশ সংস্কার কমিশন গঠনসহ ৯ দফা সুপারিশ করা হয়। বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাপার সহসভাপতি ও স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম. ফিরোজ আহমেদ, বাপার সহসভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. শহীদুল ইসলাম, বাপার সহসভাপতি মহিদুল হক খান, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুুযায়ী ২০২১ সালে বাংলাদেশে বায়ুদূষণের কারণে কমপক্ষে ২ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (সিআরইএ) এর গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর ৫ হাজার ২৫৮ শিশুসহ ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৬ জন মানুষের অকালমৃত্যু ঘটে।