রাজধানীতে ছয় তলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদের ক্ষমতার অপব্যবহার ও মিথ্যা হলফনামা দিয়ে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন মামলাটি করেন। এর আগে রবিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে জানা গেছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, সদস্য আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, আবু বক্কার সিকদার, আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার ও আখতার হোসেন ভুঁইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার স্বীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে উত্তরাধিকার হিসেবে ঢাকায় তার পৌনে ১৮ কাঠা জমিতে একটি ছয় তলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও রাজউকের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় অসৎ উদ্দেশে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য প্রদানপূর্বক রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নিয়ে নিজে লাভবান হয়েছেন। মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বিধি ১৩ লঙ্ঘন করে হলফনামা দাখিল করে রাজউকের ১০ কাঠা প্লট আত্মসাতের মাধ্যমে অপরাধ করেছেন প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। শুধু তাই নয় বরাদ্দকরা প্লটের সুদসহ প্রথম কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে ওই প্লট বাতিলও হয়েছিল। কিন্তু আসামিরা সুদের ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা মওকুফ করে সরকারে আর্থিক ক্ষতিসাধন এবং পুনরায় প্লট বরাদ্দে সিদ্ধান্ত দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গত ২৪ জুলাই সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।