জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, এ সরকার বলেছেন সংস্কার, বিচার এবং তারপর নির্বাচন। কিন্তু এখন সংস্কার কোথায়? এইটা কি খেলা? জনগণের আন্দোলনের ফসল হিসেবে যাদের ওপর আস্থা রেখে জাতি তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল- আজকে তারা জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি।
গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের আরও বলেন, এত দিন আমরা ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা করেছি, বিভিন্ন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। এখন তা বাস্তবায়ন করা এ সরকারের দায়িত্ব। নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়ন করা এ সরকারের দায়িত্ব। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যে জনগণ আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে, সে জনগণ মরেনি। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির। এতে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭-এর বর্ণিত বিধানের আলোকে জনগণের অভিপ্রায়ের এ সরকারের বৈধতা স্বীকৃত উৎস এবং আইনি ভিত্তি। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের অধীন সুপ্রিম কোর্ট যে মতামত দিয়েছেন এর কোনো কার্যকারিতা নেই। বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার সরাসরি প্রতিফলনই জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি। রাষ্ট্রপতির ঘোষণাপত্র বা গণভোট জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার স্বীকৃত ও বাস্তবসম্মত পদ্ধতি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ড. ইউনুস আলী আকন্দ, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নিয়ামুল বশির, গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ও মুখপাত্র ফারুক হাসান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও ড. হামিদুর রহমান আযাদ (সাবেক এমপি) প্রমুখ।