ঝাড়ু দেওয়ার সময় একজনের শরীরে ময়লা লাগায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। গত রবিবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ১১টার দিকে ভৈরব বাজারে এশা হোটেল নামে একটি আবাসিক হোটেলের ঝাড়ুদার হোটেলে ঝাড়ু দেওয়ার সময় ময়লা পড়ে উত্তরপাড়া এলাকার এক যুবকের শরীরে। এ নিয়ে ঝাড়ুদার ও হোটেল ম্যানেজারের সঙ্গে ওই যুবকের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধানো হয়। রাত ১২টায় বাজারের সংঘর্ষটি ভৈরবপুর উত্তরপাড়া ওমান গ্রুপ ও দক্ষিণপাড়ায় কসাইহাটির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। উত্তরপাড়ার মনমরা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী চলে সংঘর্ষ। দুই পক্ষই লাঠিসোঁটা, দা-বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ সময় রাস্তার পাশে থাকা বেশ কয়েকটি দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আহতরা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। হোটেলের ম্যানেজার মহিউদ্দিন বলেন, হোটেল ঝাড়ু দিতে গিয়ে ময়লা ছিটকে পড়ে ঠিকই, তবে ওই যুবকের শরীরে পড়েনি। তবু সে দলবল নিয়ে এসে হোটেলে হামলা এবং ভাঙচুর করেছে। আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হয়েছি। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিক নাঈম মিয়া বলেন, ঝগড়ার সঙ্গে আমরা জড়িত নই। রাস্তার পাশে দোকান থাকাটাই আমাদের অপরাধ।
ভৈরব নদী ফায়ার স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, এক ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে মনমরা এলাকার ১০টি দোকানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব বলেন, তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।