বিজনেস ইনসাইডার'র এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল একটি পরিবারেই জন্মগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের জিলিয়ান মাইকেল। তবে ১৭ বছর বয়স থেকেই তিনি নিজেই নিজের খরচ চালিয়ে আসছিলেন। পরে নিজে নিজেই মিলিয়নিয়ার হওয়ার প্রক্রিয়া থেকে তিনি একটি গুরত্বপূর্ণ সত্য জেনেছেন, 'অর্থ কাউকে সুখ কিনে দিতে পারে না, তবে স্বাধীনতা এনে দিতে পারে'। তিনি জানান, 'প্রচুর অর্থ থাকার ফলে আমার ভেতর কোনো কিছু হারানোর ভয় কাজ করে না। আর এই ভয়হীনতাই আমাকে স্বাধীনতা এনে দেয়।'
জিলিয়ান মাইকেল সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় পর্যায় মনোযোগ লাভ করেন এনবিসি টিভিতে ওজন কমানোর প্রতিযোগিতা 'দ্য বিগেস্ট লুজার' শো-তে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। পরে জিলিয়ান নিজের ব্র্যান্ড ব্যবহার করে শরীরচর্চা বিষয়ক ডিভিডি প্রকাশ, লেখালেখি ও ক্রেভ জার্কি ও পপচিপস এর মতো স্বাস্থ্যবিষয়ক কম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্ব স্থাপন করে বিশাল ব্যবসায় সাম্রাজ্য গড়ে তোলতে সক্ষম হন। সম্প্রতি তিনি 'জাস্ট জিলিয়ান' শিরোনামের একটি বইয়ে নিজের জীবন কাহিনী লিখেছেন।
তিনি মনে করেন , নির্দিষ্ট একটা সময়ের পর অতিবেশি অর্থও সমস্যার সৃষ্টি করতে শুরু করতে পারে। এবং অনেকের জন্যই তা একটি ফাঁদ হয়ে উঠতে পারে। আর বেশি অর্থ থাকলে সব সময়ই যে তা সুখ বাড়ায় এমনটাও মনে করা ঠিক নয়।
তবে ব্যাংকে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ আছে, এটা জানা থাকলে ঝুঁকি গ্রহণ এবং নতুন সুযোগের পেছনে ছোটার জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার