বর্ষায় আবহাওয়া অনেক বেশি আর্দ্র থাকায় এই সময়ে ত্বক নিয়ে অনেকেই বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
অতিরিক্ত ঘাম, ত্বকের তৈলাক্ত ভাব, ব্রণ ও নিস্তেজ ত্বক যেন হয়ে ওঠে প্রতিদিনের যন্ত্রণার কারণ। তাই এসময় ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষাকালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কিছু নিয়ম অনুসরণ করা উচিত। এ বিষয়ে কিছু কার্যকর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
বর্ষাকালে শরীর হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তরল জাতীয় পানীয় হিসেবে ফলের জুস, ডাবের পানি, কিংবা ডিটক্স ওয়াটার রাখতে পারেন। নিজেকে সতেজ রাখতে এ সময় পান করতে পারেন আদা চা, মশলা চা, কিংবা গ্রিন টি।
২. খাদ্য তালিকায় মৌসুমি ফল রাখা
বর্ষাকাল মৌসুমি ফলের বিশাল সমাহার নিয়ে আসে। তাই ত্বক ভালো রাখতে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এসব মৌসুমি ফল রাখতে পারেন। এগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। যার ফলে আপনার স্কিন থাকবে কোমল ও সতেজ। নাশপাতি, জাম এবং পীচ হল কিছু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যা বর্ষাকালে আপনার খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
৩. বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন
বর্ষাকালে নিজেকে সুস্থ রাখতে বাইরের খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। অতিরিক্ত তেলে ভাজা খবার ত্বকের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয়। তাই এ সময় স্কিন ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণ স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। যা আপনার ত্বক ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করবে।
৪. প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি খাওয়া
সবুজ শাক-সবজি ত্বকের জন্য খুব উপকারী। সবুজ শাক-সবজি ভিটামিন এ, জিঙ্ক, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এগুলো শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করে রাখে। পালং শাক, ব্রোকোলি, পেঁয়াজ কলিএবং শসা ত্বকে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এ ধরনের শাক-সবজি প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখলে ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি পাবে এবং শরীর সুস্থ্ থাকবে।
৫. খাদ্য তালিকায় শস্যবীজ রাখা
শস্যবীজ আমাদের ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। সূর্যমুখী এবং কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে, যা আপনার ত্বককে টানটান এবং উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শস্য বীজ রাখুন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ