চোখ বুজলেই শুরু হয় নাক ডাকা। তার পর গোটা বাড়ি মাথায়। পাশের জনের ঘুমের বারোটা বাজে। আর তা নিয়ে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠলেই ঝামেলা হয়। এই ছবি কিন্তু কমবেশি সকলেরই পরিচিত। নাক ডাকা নিয়ে স্বামী–স্ত্রীর বিবাদ বিদেশে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। কয়েকটা জিনিস এড়িয়ে চললে বা একটু সাবধান হলে নাক ডাকা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। জেনে নিন—
❏ নাক ডাকার অন্যতম কারণ শুষ্ক বাতাস। ঘরের বাতাস শুষ্ক হলে শ্বাসনালী, তার পর্দা শুকিয়ে যায়। ফলে নিঃশ্বাস–প্রশ্বাস বাধা পায়। এর ফলে শ্বাসযন্ত্রের কলাগুলো কাঁপতে থাকে, যার ফল নাসিকা গর্জন। ঘরের আর্দ্রতা বাড়ানোর যন্ত্র হিউমিডিফায়ের থাকলে এই সমস্যার সমাধান হবে।
❏ ওজনবৃদ্ধি নাক ডাকার অন্যতম কারণ। ওজন বাড়লে শ্বাসনালীতে অতিরিক্ত কলার জন্ম হয়। এই কলা শ্বাসে বাধা দেয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
❏ নিয়মিত প্রাণায়াম করলে ফুসফুসে যথেষ্ট অক্সিজেন পৌঁছায়। রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়। এর ফলে নাক ডাকাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
❏ শ্বাসনালী এবং জিভের পেশি শক্ত হলে নাক ডাকা অনেকটাই কমে। নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে এসব পেশি শক্ত করা প্রয়োজন। বয়স হলে এই পেশির স্থিতিস্থাপকতা, শক্তি কমে যায়। ফলে শ্বাসকার্য বাধা পায়।
❏ ধূমপান করলে ফুসফুসের ক্ষতির পাশাপাশি শ্বাস–প্রশ্বাসও বাধা পায়। ফলে নাক ডাকা বেড়ে যায়।
❏ ঘুমের সময় জিভ পিছনদিকে হেলে পড়ে শ্বাসনালীর মুখ আটক দেয়। ফল নাসিকা গর্জন। তাই বালিশে মাথা রেখে ঘুমনো জরুরি।
❏ ঘুমের আগে এক কাপ উষ্ণ গরম দুধে ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। ঘুম ভাল হবে। নাক ডাকার থেকেও রেহাই মিলবে।
বিডি প্রতিদিন/৪ মার্চ ২০১৭/হিমেল