১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০৪:২১

আকাশপথে পিয়াজ আনছি, দাম নিয়ন্ত্রণে ভর্তুকি: বাণিজ্যমন্ত্রী

অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি

আকাশপথে পিয়াজ আনছি, দাম নিয়ন্ত্রণে ভর্তুকি: বাণিজ্যমন্ত্রী

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যুবলীগের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী যুবলীগ, অস্ট্রেলিয়া শাখার উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সংগঠনের সভাপতি মোশতাক মিরাজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে নোমান শামীম ও অপু সারোয়ারের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি।

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন। আরও বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল আলম, ডা. লাভলি খন্দকার, নির্মাল্য তালুকদার, কলামিস্ট ড. শাখাওয়াৎ নয়ন প্রমুখ। 

আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজলুল হক মনি, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয় এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন ফাহাদ আসমার, আরিফুর রহমান এবং আইভি রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘ভারত হঠাৎ করে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। আমাদের পিয়াজের চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন। যার মধ্যে ২২ লাখ মেট্রিক টন দেশেই উৎপাদন হয়। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে ২ থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন নষ্ট হয়ে যায়। ফলে প্রায় সাত লাখ মেট্রিক টন ঘাটতি থেকে যায়। অতীতে সেই পিয়াজের জন্য আমরা কেবলমাত্র ভারতের উপর নির্ভরশীল ছিলাম। তারা হঠাৎ করেই রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। 

মন্ত্রী আরও জানান, ভারতের পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের সময় আমি ও প্রধানমন্ত্রী দু’জনই দিল্লিতে ছিলাম। আমরা ভারত সরকারকে পিয়াজ রফতানি বন্ধ না করার জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ করেছিলাম। তারা আশ্বাস দিয়ে জানিয়ে ছিল আপাতত যেগুলো এলসি খোলা হয়েছে তা রপ্তানি হবে এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের পরে রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে। কিন্তু নির্বাচনের পরে সেটা না করায় দেশে পিয়াজের সঙ্কট দেখা দেয়। পিয়াজ সঙ্কটের সময় কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সুযোগ নেবার চেষ্টা করেছে, যা আমরা বর্তমানে বিভিন্ন অভিযান চালানোর মাধ্যমে কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি। সঙ্কট নিরসনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আকাশপথে পিয়াজ আনছি, দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ভর্তুকিও প্রদান করা হবে। আগামী মাসে দেশীয় পিয়াজ বাজারে এলে যাতে দেশের পিয়াজ উৎপাদনকারী কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, আমরা সেদিকেও খেয়াল রাখবো। এখন আমাদের লক্ষ্য হবে আগামী তিন বছরের মধ্যে যেন পিয়াজ উৎপাদনে আমরা যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি। এ ব্যাপারে আমি কৃষিমন্ত্রীর সাথেও কথা বলেছি, তিনিও প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে রাজি হয়েছেন।’ 

এ ছাড়াও তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির সাথে তার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করেন।  

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এনাতুর রহমান বেলাল, এমদাদ হক, মশিউর রহমান হৃদয়, মো. মুনীর হোসেন, জামির আহমেদ, মহিউদ্দিন মহি, আলি আশরাফ হিমেল, ওবায়দুর রহমান, এলিজা টুম্পা, বীর খানসহ অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। মিলন মেলা-মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর