পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সচিবালয়ের চারপাশ হর্ন মুক্ত ঘোষণার মাধ্যমে ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নীরব এলাকায় পরিণত হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ের সামনে ‘সচিবালয়ের চারপাশের রাস্তাকে হর্নমুক্ত এলাকা’ ঘোষণার লক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এক বর্ণাঢ্য র্যালি সচিবালয়ের সামনের রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালির পর মন্ত্রী চলমান গাড়ির ড্রাইভারদের সাথে দেখা করে হর্ন না বাজানোর অনুরোধ জানান।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার মতো মেগা সিটিতে এই ধরনের কার্যক্রম শুধু সরকারি আদেশ-নির্দেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য। সবার সহযোগিতায়ই এ কার্যক্রম সফল হতে পারে। কারণ এই শহর আমাদের সবার। বায়ু ও শব্দ দূষণ কমানোর মাধ্যমে শহরের পরিবেশ সুন্দর রাখতে স্ব-স্ব দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করতে হবে।
উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা এ বিষয়ে সচেতনা সৃষ্টি করতে সহযোগিতা করলে পর্যায়ক্রমে ঢাকার সব নীরব এলাকাকেই হর্নমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা সহজ হবে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মন্ত্রী জানান, মঙ্গলবার এ কার্যক্রম উদ্বোধনের পাশাপাশি স্টিকার লাগানো, লিফলেট বিতরণ, মৌখিক অনুরোধসহ বিভিন্নভাবে চালকদের অবহিতকরণের কাজ চলবে। আগামীকাল বুধবার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়, সচিবালয় লিংক রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় হর্ন বাজালে জরিমানা করা হবে।
তিনি বলেন, শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ ধারা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে নীরব এলাকায় চলাচলকালে যানবাহনে হর্ন বাজানো দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধের জন্য প্রথমবার অনধিক ১ (এক) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে। আর কেউ যদি পরবর্তী সময়ে একই অপরাধ করেন সে ক্ষেত্রে অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
মন্ত্রী জানান, গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার বায়ু ও শব্দ দূষণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে এক জরুরি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন