মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, সঠিক ইতিহাস এবং সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসমূহ সংরক্ষণ করে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে যাবে। আর ইতিহাস মুছে গেলে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি লাভবান হবে। তারা জয়ী হবে। দেশের স্বাধীনতা ভূলুন্ঠিত হবে। তাই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বর্তমান সরকার সারাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, বড় বড় যুদ্ধের স্থানসমূহ, গণহত্যা এবং বধ্যভূমিসমূহে একই ডিজাইনে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিনায়তনে জেলার ১১টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনসমূহের উদ্বোধনী এবং এ উপলক্ষে জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সরকারের দেয়া সর্বোচ্চ মর্যাদার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানী ভাতা আরও বৃদ্ধি করা, বিজয় দিবস ভাতা এবং উৎসব ভাতা প্রদানের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। তা অবিলম্বে বাস্তবায়িত হবে। মন্ত্রী দেশের ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার এই ৪৮ বছরে মাত্র ১৯ বছর ক্ষমতায় রয়েছে। এই ১৯ বছরে দেশের শতকরা ৮০ ভাগ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্ধোধনী ও জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাাখেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহিদুজ্জামান সরকার এমপি, ছলিম উদ্দিন তরফদার এমপি, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হাকিম এবং নওগাঁ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ হারুন-অল-রশীদ। এর আগে মন্ত্রী পর্দা টেনে নওগাঁ জেলার ১১টি উপজলোর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনসমূহের ফলক উন্মোচন করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার