১৩ আগস্ট, ২০২০ ১৮:৪২

সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি দেওয়াই চ্যালেঞ্জ: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি দেওয়াই চ্যালেঞ্জ: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

গ্রাহকদের সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি পৌঁছে দেওয়াই মূল চ্যালেঞ্জের কাজ। এছাড়াও আগামীতে জ্বালানি খাতে হিউম্যান রিসোর্স নিয়েও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বৃহস্পতিবার এসব বলেন।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি চলতি বছরের ডিসেম্বরেই আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করতে পারব। সব পার্বত্য এলাকায় শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। আর অবশিষ্ট এলাকায় সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে। ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টাস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, এনার্জি সিকিউরিটি এবং আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসব বলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক অরুণ কর্মকার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনার্জি এন্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন। ভার্চুয়াল এ আয়োজনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশন (বিপপা)। 

নসরুল হামিদ বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে দূরদর্শী চিন্তা-ভাবনা করেছিলেন। আর এর মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যতের জ্বালানি খাতের জন্য পথ রচনা করে যান। 

তিনি আরও বলেন, একসময় টানা ১০ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকত না অথচ এখন মাত্র ১০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলে মানুষজন অধৈর্য্য হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে এখন জেনারেটর ও আইপিএসের ব্যবসা আর নেই। আমরা এরই মধ্যে শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পেরেছি। তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যুতের মিটার রিডিং বন্ধ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে আমরা তিন লাখ মিটার স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও বিদ্যুৎ বিভাগের কাজ এগিয়ে চলছে।

আমরা ২৫ একরের উপর জমিতে বিশ্বমানের পাওয়ার ইন্সস্টিটিউট তৈরি করছি। এছাড়া বার্ষিক অগ্রগতি কাজের হিসেবেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ এগিয়ে আছে। আগামী দুই বছরের মধ্যেই বিদ্যুৎ বিভাগ ডিজিটাল ও পেপারলেস হয়ে যাবে। গভীর সাগরে টার্মিনাল তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে গভীর সাগরে ৭০ শতাংশ পাইপ লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে শতকরা ১২ শতাংশ বিনিয়োগের কথা বলেছিলেন। সে সময় বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর ৫টি গ্যাসক্ষেত্র গ্রহণ করার বিষয়টিকে ‘বাংলার মুক্তির সনদ’ বলে অভিহিত করেন। 

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাতে আমাদের অর্জন অনেক কিন্তু চ্যালেঞ্জও অনেক বেশি। রান্নার কাজে গ্যাস ব্যবহার করাকে বিলাসিতা বলে উল্লেখ করেন ফরাসউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ ফারুক চিশতী, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার সালেক সুফী, পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ।

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর