ফসলের মাঠে ফুটিয়ে তোলা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি দেখে আগামী প্রজন্ম তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। সেইসঙ্গে অসাধারণ এই শিল্পকর্মটি অচিরেই গিনেস বুকে অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাঙালির নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
রবিবার বেলা বারোটায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার নিভৃত পল্লী বালেন্দা গ্রামে একশ বিঘা জমির গাঢ় বেগুণী ও সবুজ ক্যানভাসে আঁকা বিশে্বর সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র পরিদর্শন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এমপি সাহাদারা মান্নান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাউল ইসলাম, বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞাঁ, শস্যচিত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জাতীয় বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব কেএম মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ভবানীপুরের বালেন্দা এলাকায় এলে পৌঁছালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান, শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
পরে কৃষিমন্ত্রী বিশে্বর সর্ববৃহৎ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর এই শস্যচিত্রটি পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় এবং জেলা-উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় পরিষদের উদ্যোগে এবং বেসরকারি কোম্পানি ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের সহযোগিতায় বগুড়ার শেরপুরের ফসলি মাঠে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’। বিশে্বর সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হবে এটি। এছাড়া শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি তৈরি করার জন্য গিনেজ ওয়াল্ড রেকর্ডসের শর্ত অনুযায়ী দুই ধরনের ধানের চারা লাগানো হয়েছে। গাঢ় বেগুণী ও সবুজ ধানের চারায় ফুটে উঠেছে জাতির জনকের সুস্পষ্ট অবয়ব।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন