চা রফতানি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘আমরা হয়তো এক সময় চাহিদা মিটিয়ে ১১ মিলিয়ন কেজি এক্সপোর্ট করতে পারব। আমার ধারণা সেটা কঠিন হবে। কারণ আমাদের দেশের মানুষ তো চা খেতে শুরু করেছে। এখন সাধারণ মানুষ চা খাচ্ছে। যে মানুষ কোনো দিন চা খেতো না, সে এখন তিন কাপ চা খায়।’
তিনি বলেন, ‘যে মানুষ বাড়ির বাইরে নাস্তা করতো না, সে এখন সকালে বাড়ির বাইরে মোড়ের দোকানে নাস্তা খাবে, সাথে চা খাবে টেলিভিশন দেখবে পরে আরেক কাপ চা খাবে। তাহলে কনজামশন (ব্যয়) কোথায় গেল। এর মাধ্যমে এটাও বোঝা যায়, তৃণমূলের মানুষের অর্থনৈতিক পরিবর্তন।’
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চা দিবসের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, চা শিল্পের প্রসার’ স্লোগানে বর্ণাঢ্য আয়ােজনে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপােষকতায় বাংলাদেশ চা বাের্ডের উদ্যোগে প্রথম জাতীয় চা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এসময় বিটিআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নত জাতের ক্লোন বিটি-২২ ও বিটি-২৩ অবমুক্ত করা হয়।
টিপু মুনশি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্পর্শে চা শিল্প উজ্জীবিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকাকালীন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন বিষয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, যা চা সেক্টরকে সমাদৃত করেছে। বাজেট অধিবেশনের আগে কেবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী চায়ের বিষয়েও কথা বলেছেন। চা পাতার নতুন নতুন আইটেম আনা, বাস্কেট বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই চা এক্সপোর্ট করতে চাই, সেটা আমাদের খুব ইচ্ছা। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সেটা খুব কঠিন হবে। চা উৎপাদন বাড়বে। বৈজ্ঞানিক চিন্তা-চেতনা কাজ করছে, আমাদের প্রচেষ্টা আছে। ৯৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের রেকর্ড করেছি। হয়তো এ বছর কিংবা আগামী বছর এটা ১০০ ক্রস করবে। বছর বছর হয়তো ৫ পারসেন্ট বা ৭ পার্সেন্ট আমরা বাড়াতে পারব।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক