প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র টেকসই হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা আসার পর দেশে নির্বাচন হচ্ছে। শেখ হাসিনা মানবাধিকারের জন্য কাজ করছেন। বিদেশি বন্ধুদের নিশ্চয়তা দিতে চাই, প্রধানমন্ত্রী আছেন বলে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হচ্ছে। যতদিন শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ আছে, আমরা এগুলোকে প্রিন্সিপাল এবং ভ্যালুস হিসেবে রাখব।’
পশ্চিমাদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হলো, তখন আমাদের বড় বড় বন্ধু... যারা এখন মানবাধিকারের কথা বলেন; তাদের মুখ থেকে তখন একটি কথাও বের হয়নি।
বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ‘১৯৭৫ সালের বর্বরতা : বাংলাদেশের মানবাধিকার ও সুশাসনের ওপর প্রভাব’— শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
পশ্চিমাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা মানবাধিকারের কথা বলেন, কিন্তু ১৫ আগস্টের পর তারা নিশ্চুপ ছিলেন। বরং তখন তারা ঘাতকদের সাহায্য করেছেন। এছাড়া ঘাতকদের বিভিন্ন অজুহাতে এখনো তাদের দেশে আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের সম্মুখীন করতে চাই। যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করতে চাই। বিদেশি বন্ধুদের বলতে চাই, আল্লাহর ওয়াস্তে এ ধরনের ঘাতকদের ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ নিন।’
বিএনপির সমালোচনা করে ড. মোমেন বলেন, অন্যদের সময় দেখেছেন যে, সন্ত্রাসী ইতিহাস, জঙ্গি ইতিহাস, বাংলা ভাইয়ের ইতিহাস, পরপর পাঁচবার এক নম্বর দুর্নীতিপরায়ণ দেশের ইতিহাস। আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় যেতে চাই না, আমরা সিরিজ কিলিংয়ে যেতে চাই না। আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ