বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, মামুন ও রমজানসহ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হয়েছে। এর ফলে দেশ গণতন্ত্রের পথে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। তাদের আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
সোমবার নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বটতলা গ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং সদর উপজেলার মদনপুরে নন্দীপুর চরপাড়া গ্রামে নিহত রমজান মিয়ার কবর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রিন্স।
এ সময় তিনি মামুন ও রমজানের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের কাছে আর্থিক সহায়তাও তুলে দেন।
এ সময় পৃথক দু’টি সমাবেশে অংশ নিয়ে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রিন্স বলেন, জনগণের বিজয় ছিনিয়ে নিতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পতনের পর ভারতে পালিয়ে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে জয়সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতি বিপ্লব ঘটানোর চক্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, গণবিপ্লবে পতন ঘটলেও বিদেশি শক্তির ওপর দায় দিয়ে শেখ হাসিনা আবারও জনগণকে অপমান করলেন। ১৫ বছর অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে এখন তার শোচনীয় পতনের জন্যও বিদেশি শক্তিকে দায়ী করছেন। সেন্টমার্টিন-বঙ্গোপসাগরের সাজানো গল্প জনগণ বিশ্বাস করে না, কারণ জনগণই গণবিপ্লব রচনা করে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম স্বৈরাচারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে অস্ত্র দিয়েও ক্ষমতায় টিকতে না পেরে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের কথা চিন্তা না করে তিনি প্রভুর দেশে পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকে কর্মীদের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির উস্কানি দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ডুবে যাওয়া জাহাজ। হামজা বা রুস্তম দিয়েও আওয়ামী লীগকে আর টেনে তোলা যাবে না। আওয়ামী লীগ পচে-গলে নষ্ট হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ছাত্র-জনতার প্রাণ হরণকারীকে জাতি ক্ষমা করবে না।
এ সময় নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক যুগ্ম আহ্বায়ক এড. মাহফুজুর রহমান, মজিবর রহমান খান, তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাত, বজলুর রহমান পাঠান, মনিরুজ্জামান দুদুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত