সম্প্রতি ফাঁস হওয়া শেখ হাসিনার ফোনালাপের কথা উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘ছাত্র গণ বিপ্লবে পদত্যাগে বাধ্য হয়ে ভারতে পালিয়ে গেলেও সেখানে বসে নিত্যনতুন ষড়যন্ত্র করছেন তিনি। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা জনগণ ও গণতন্ত্রের শত্রু। তার ক্ষমা নেই। গণতন্ত্র ও গণহত্যার দায়ে অবশ্যই তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হতে হবে।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যৌথ সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে ও আবু হাসনাত বদরুল কবিরের সঞ্চালনায় যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহ নগরীতে বিএনপির র্যালি সফল করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।সভায় প্রিন্স বলেন, ‘ভারত সরকারের সেফ হাউজে বসে শেখ হাসিনা কীভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছেন, তা ভারত সরকারকে জবাব দিতে হবে। এর দায় অবশ্যই মোদি সরকারকে নিতে হবে। অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলেও ভারত তাকে অবৈধভাবে আশ্রয়, প্রশ্রয় দিয়ে এবং বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ দিয়ে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে অপমানিত করেছে। ভারত সরকার তাকে কোন স্ট্যাটাসে, কোথায় রেখেছে তা প্রকাশ্যে বলতে হবে এবং দ্রত বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রকে স্বমূলে নস্যাৎ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার অবৈধ শাসনামলে দুর্নীতি, লুটপাট ও নিষ্ঠুর দমন-নিপীড়ন চালিয়ে গণতন্ত্র হত্যা করে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছেন। গণ বিদ্রোহে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে গেলেও পদত্যাগ না করার ও এখনও প্রধানমন্ত্রীত্ব দাবি করা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ক্ষমতালিপ্সায় শেখ হাসিনা নিজের পাশাপাশি দেশকে ধ্বংস করেছেন, এখন দেশকে অস্থিতিশীল করতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।’
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ